বর্তমান সময়ে প্রতিদিনই স্মার্টফোনের ব্যবহারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। যার ফলে এ চাহিদার মিটাতে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন ফিচার নিয়ে ফোন আসছে। তবে চাহিদা বাড়ার ফলে বাজারে নকল ফোনের সংথ্যাও বেড়েছে। তাই স্মার্টফোন কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই আপনি নকল ফোনের বিপদ থেকে কিছু রক্ষা পেতে পারেন।
স্ক্রিনের সৌন্দর্য: ফোনের স্ক্রিন কেমন দেখাচ্ছে এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে খুব সহজেই আসল এবং নকল ফোনের তফাৎ চেনা যায়। আসল ফোনের পর্দা উজ্জ্বল ও ফ্রেশ থাকে। যদি স্ক্রিনটি মলিন হয়। তবে ৭০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায়, এটি একটি নকল ফোন।
লোগো: ফোন কেনার পর যদি দেখতে পান লোগোটি অস্পষ্ট এবং অমসৃণ, তাহলে আপনি নকল ফোন কিনেছেন।
ক্যামেরার অবস্থান: ক্যামেরা, ফোনের বাটন এমনকি লোগোর অবস্থান কখনো কখনো আসল ও নকল ফোন বিষয়ে ধারণা দেয়। যে কোনো আসল অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এসব এমন অবস্থানে সেট করা হয়। যাতে প্রত্যেকটির সাথে প্রত্যেকটির একটি ধারাবাহিকতা থাকে।
ফ্যাক্টরি রিসেট মোডে বুট: ফোন বন্ধ করে, কয়েক সেকেন্ডের জন্য পাওয়ার অন + হোম + ভলিউম আপ কী-একইসঙ্গে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ধরে রাখুন। এর ফলে আসল অ্যান্ড্রয়েড ফোন হলে রিকভারি মেন্যু উপস্থিত হবে। এছাড়া এটি অন্যান্য বিভিন্ন অপশন দেখা যাবে বা কোনো কিছুই দেখাবে না।
স্ক্রিনের গঠন: শুধু ডিসপ্লে নয়, এর গঠন কাঠামোও আসল অ্যান্ড্রয়েড ফোনে স্ক্রিনের মান উন্নত হয়। যদি আপনি এর ওপর আঙ্গুল রাখেন এবং কাচের চেয়ে প্লাস্টিকের মতো অনুভূতি বেশি অনুভব হয়, তাহলে বুঝবেন ডিভাইসটি সস্তা কাচের উপাদান দিয়ে তৈরি।
ফোনের বৈশিষ্ট্য: ফোনের ম্যানুয়াল চেক করে দেখুন সেখানে কী কী বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা আছে। এরপর আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে দেখুন সবগুলো বৈশিষ্ট্যই এতে আছে কিনা। সর্বশেষ আসল ফোনে একই ধরনের স্পেসিফিকেশন আছে কিনা, তা দেখতে ফোনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট চেক করুন।
লক্ষণীয় বিষয়:
১/ যদি কোনো ফোন অন্য যে কোনো জায়গার চেয়ে দামের দিক থেকে অনেক কমে হয় তাহলে সেটা কিনবেন না। এ ধরনের ফোন নকল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
২/ অনুমোদিত শো-রুম, ডিলার থেকে ফোন কিনবেন।
৩/ ওয়ারেন্টি পেপার সংগ্রহ করতে হবে।