ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করলে আবার আগের মতো ঝকঝকে এবং তাড়াতাড়ি কাজ করা শুরু করে। ফ্যাক্টরি রিসেট করা মানে কোনো সমস্যা হয়েছে। তাছাড়া ফোনটি একদম নতুন অবস্থায় ফিরে পাওয়ার ছাড়াও ফ্যাক্টরি রিসেটের আরও কিছু সুফল রয়েছে। ফোনে অবাঞ্ছিত অ্যাপ এবং বিপজ্জনক ম্যালওয়্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া ডিভাইসের স্টোরেজ স্পেস খালি হয়। জেনে নেন কিভাবে সঠিক নিয়মে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হয়।
ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার পূর্বে করণীয়: ফোন রিসেট করার আগে প্রথমে যাবতীয় দরকারি ডাটা ব্যাক আপ করা উচিৎ। অন্য কোন ডিভাইস, পোর্টেবল হার্ডডিস্ক বা ক্লাউডে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোর অনুলিপি করতে হবে।
অ্যাপল, গুগল এবং মাইক্রোসফ্ট আরও ক্লাউড-কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। গুগল ড্রাইভ, আইক্লাউড, এবং ওয়ান ড্রাইভ-এর সাহায্যে যেকোনো জায়গা থেকেই ক্লাউডে ডাটা ব্যাক-আপ রাখা যাচ্ছে। নিয়মিত ব্যবহৃত অ্যাপগুলোর ব্যাক-আপ রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে কেশ ফাইলগুলো চেক করে রাখা যেতে পারে।
একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে ক্লাউড থেকে বড় বড় ফাইলগুলো ডাউনলোডের সময় ইন্টারনেটের গতির উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে ড্রপবক্স অথবা গুগল ড্রাইভ অপেক্ষা বাহ্যিক হার্ড ড্রাইভে কপি করা দ্রুত এবং সহজ হতে পারে। এরপরে হার্ড ড্রাইভ থেকে ডাটাগুলো সরাসরি ফোনে নেওয়া যাবে।
অ্যান্ড্রয়েড ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার পদ্ধতি: সেটিংস অপশন থেকে সিস্টেম, অ্যাডভান্সড এবং ব্যাক-আপ-এর ভেতরে অ্যান্ড্রয়েডের নিজস্ব ব্যাকআপ সিস্টেম থাকে। এগুলো কন্টাক্ট নাম্বার, ম্যাসেজ এবং ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড সহ যাবতীয় ডিভাইস সেটিংস সংরক্ষণ করে রাখে।
ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট-এর শুরুতে ফোনটি প্লাগ ইন করে নিতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যে, চার্জিং প্রক্রিয়া যেন বাধাগ্রস্ত না হয়। সেটিংস-এ গিয়ে সিস্টেম, অ্যাডভান্সড, রিসেট-এ ক্লিক করতে হবে। এতে অ্যান্ড্রয়েড যে ডাটাগুলো ডিলেট হতে চলেছে সেগুলো দেখাবে। ইরেজ অল ডাটা’তে ক্লিক করার পর লক স্ক্রীনে পিন কোড জিজ্ঞাসা করা হবে। পিন নাম্বার দেওয়ার পর আবার ইরেজ অল ডাটা’তে প্রেস করলে শুরু হয়ে যাবে রিসেট প্রক্রিয়া।