আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর আরোপের প্রস্তাবনা আসতে পারে। একই সাাথে জনস্বার্থে বা দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় থাকবে শুল্ক ও ভ্যাট ছাড়। যার ফলে অনেক পণ্যের দাম বাড়তে এবং কমতে পারে। আজকে আপনাদের সামনে তোলে ধরবো টেক সর্ম্পকিত যেসব পণ্যের দাম কমতে ও বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেট অনুষ্ঠিত হবে।
যেখানে কম্পিউটার সামগ্রীর মধ্যে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার ও অন্যান্য কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় শিল্পের বিকাশে ওই শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব আসছে।
অন্যদিকে, আমদানিকরা সেই সব পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। যার ফলে স্থানীয় শিল্পে উৎপাদিত কম্পিউটার ও আইসিটি পণ্যের দাম কমতে পারে।
এছাড়া, ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় গাড়ি তৈরির শিল্প। তাই মোটরগাড়ি তৈরিতে যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের পাশাপাশি ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি প্রস্তাব আসতে পারে বাজেটে। দেশে তৈরি গাড়ির দাম কমতে পারে।
স্থানীয় উৎপাদিত মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের শুল্ক ও ভ্যাট সুবিধা ভোগ করে আসছে। যেখানে আমদানি করা হ্যান্ডসেটের ওপর ৫৮ শতাংশ শুল্ক-কর প্রযোজ্য। সেখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও অ্যাসেম্বলড হ্যান্ডসেটের জন্য কর দিতে হয় যথাক্রমে ১৩ ও ১৮ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটেও এই সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। আমদানি কর মোবাইলের তুলনায় আগামী অর্থবছরের তুলনামূলক কম দামে ফিচার ফোন (বাটন ফোন) মিলতে পারে।
আমদানিকরা স্মার্ট মোবাইল ফোন দাম আরেক দফায় বেড়ে যেতে পারে। তবে সুবিধা পাচ্ছে দেশীয় কোম্পানিগুলো। শুল্ক বৃদ্ধি করণে আমদানিকরা ফ্রিজ ও এসির দাম আরও বাড়তে পারে। এছাড়া আমদানিকরা সব ধরনের বিলাসবহুল হোম অ্যাপ্লায়েন্সের দাম বাড়তে পারে।